গ্রিস কর্মী সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালে ৮৯,২৯০ জন বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃতীয় দেশ থেকে কর্মী আনতে গ্রিক মন্ত্রিসভা একটি গেজেট পাস করেছে। এর আওতায় পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার কর্মী ভিসা পাবেন।
গ্রিসে কৃষি, নির্মাণ, এবং পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় তিন লাখ কর্মীর অভাব রয়েছে। বিশেষ করে ডিশওয়াশার, ওয়েটার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, শেফ, স্পা থেরাপিস্ট, নির্মাণ খাতে দক্ষ কারিগর, ওয়েল্ডার, কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, গাড়ি চালক, সাইট ইঞ্জিনিয়ার, এবং ভারী যন্ত্রপাতি চালনার দক্ষ অপারেটরের চাহিদা তীব্র। তবে সবচেয়ে বেশি সংকটে রয়েছে কৃষি খাত।
গেজেট অনুযায়ী, এবার ৮৯,২৯০ জন কর্মীর মধ্যে বেশিরভাগই অদক্ষ কৃষি শ্রমিক, নির্মাতা, মেশিন অপারেটর, এবং কারখানার শ্রমিক পদে নিয়োগ পাবেন। এর মধ্যে ৪৫,৬৭০ জনকে মৌসুমি কাজের জন্য সিজনাল ভিসা দেওয়া হবে। পূর্বে ২০২৩-২৪ সালে এক লাখ ৪৭,৯২৫ জন অভিবাসী আনার কোটা নির্ধারণ করেছিল গ্রিক সরকার। মূলত কৃষি, নির্মাণ, পর্যটন এবং খাদ্য খাতে কর্মী সংকট পূরণের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের গেজেটে বলা হয়েছে, সিজনাল ভিসায় ৪৫,৬৭০ জন, উচ্চ দক্ষতা সম্পন্ন চাকরির জন্য ২,০০০ জন, এবং স্পন্সর ভিসায় ৪১,৬৭০ জন কর্মী আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশ ও মিশরের সাথে হওয়া চুক্তির আওতায় প্রায় ৯,০০০ কর্মী আনা হবে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী কৃষি, বন, মৎস্য, এবং পর্যটন খাতে ৪,০০০ কর্মী বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হবে। অন্যদিকে, গ্রিস-মিশর অভিবাসন চুক্তি অনুযায়ী কৃষি খাতে ৫,০০০ মৌসুমি শ্রমিক মিশর থেকে আসবে।
তবে বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস না থাকায় ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। দুই দেশের চুক্তির দুই বছর পার হলেও ভিসা প্রদান প্রক্রিয়ায় তেমন অগ্রগতি হয়নি, যা বাংলাদেশি ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Leave a Reply