চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শাওন কাবী রিজা নামের এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে তাকে আটক করা হয়।শাওন কাবী রিজা ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের ১৬নং রূপসা (দক্ষিণ) ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি। তার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শাহ আলম।
নুরে আলম নামে এক ব্যক্তি প্রাইভেটকারযোগে রায়পুর থেকে ফরিদগঞ্জে যাওয়ার পথে বর্ডার এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। তার গাড়ির পেছনে থাকা একটি মোটরসাইকেলের দুই আরোহী পড়ে গিয়ে আহত হন। তবে প্রাইভেটকারের কোনো দোষ ছিল না।
পরে মোটরসাইকেল আরোহীরা ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া জোড়কবরস্থানে প্রাইভেটকারটি আটকে চালকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও মারধর করে। বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত শাওন কাবী রিজা পুলিশের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
পুলিশ তাকে থানায় যেতে বললে শাওন কাবী রিজা বলেন, “আমি যাবো না, আপনার ওসি স্যারকে বলুন এখানে আসতে। আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট। আমি মনজিল ভাইয়ের শ্যালক।”
এ সময় তিনি ফরিদগঞ্জ থানার এসআই খোকন চন্দ্র দাশের হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
শাওন কাবী রিজা যে “মনজিল ভাইয়ের” শ্যালক বলে পরিচয় দিয়েছেন, তিনি সাবেক ফরিদগঞ্জ পৌর মেয়র ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক।
নুরে আলম জানান, “আমরা রায়পুর থেকে ফরিদগঞ্জ যাচ্ছিলাম। আমাদের গাড়ির সামনে থাকা একটি লড়িকে ওভারটেক করার সময় পেছনের মোটরসাইকেলটি পড়ে যায়। কিন্তু আমরা তা বুঝতে পারিনি। পরে তারা আমাদের পথ আটকে গালাগাল ও মারধর করে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা পুলিশের সাহায্য চাইলে তারাও হেনস্তার শিকার হন। ভিডিওতে সেই ঘটনার প্রমাণ রয়েছে।”
ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান মঞ্জুর জানিয়েছেন, “শাওন কাবী রিজার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ফরিদগঞ্জ থানার এসআই খোকন চন্দ্র দাশ জানান, “আমরা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত শাওন কাবী রিজা আমাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন এবং থানায় যেতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে আমরা তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।” ওসি শাহ আলম বলেন, “রাতেই তাকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
Leave a Reply