যারা উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাড়ি জমাতে ইচ্ছুক তাদের কোন দেশে ielts স্কোর কত লাগে এটি জেনে রাখা আবশ্যক। কারণ, অন্যান্য দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার মাধ্যম হচ্ছে ইংরেজি ভাষা। তাই, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চাইলে অবশ্যই ভালো ইংলিশ জানতে হবে। ইংলিশে দক্ষতা যাচাই করার জন্য এক ধরণের পরিক্ষা নেয়া হয়ে থাকে।
একে ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম বা সংক্ষেপে আইইএলটিএস বলা হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ন্যুনতম IELTS স্কোর লাগে। নতুবা, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায় না।
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে স্টুডেন্ট ভিসায় কোন দেশে IELTS স্কোর কত লাগে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য জানতে পারবেন। তো চলুন, পোস্টের মূল বিষয়ে ফিরে আসা যাক।
পুরো পৃথিবীজুড়ে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা নির্ধারণ করার জন্য যে পরিক্ষা নেয়া হয়ে থাকে, সেটিই হচ্ছে IELTS বা International English Language Testing System । আপনার যদি আইইএলটিএস স্কোর ভালো থাকে, তবে বিশ্বের প্রায় ১৪০টিরও বেশি দেশে পাড়ি জমাতে পারবেন। এছাড়াও, বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা যাচাই করা হয়ে থাকে IELTS স্কোর এর ভিত্তিতে। বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করতে চাইলে আপনার ন্যুনতম আইইএলটিএস স্কোর ৬.৫ হতে হবে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ৫.৫ স্কোর হলেও আবেদন করা যায়। তবে, এক্ষেত্রে, পড়ালেখার ফলাফল অনেক ভালো হতে হয়। নতুবা, ভিসা পাওয়ার সুযোগ থাকে অনেক কম।
আপনার আইইএলটিএস স্কোর যদি ৬.৫ বা এর বেশি হয়ে থাকে, তবে আপনি বিশ্বের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অতঃপর, স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে উক্ত দেশে যেতে পারবেন। তবে, একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, কোন দেশে ielts স্কোর কত লাগে তা নির্ধারিত না।
অর্থাৎ, আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে চাচ্ছেন, উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত স্কোর অনুযায়ী আপনার স্কোর হলেই আপনি আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ, একটি দেশ বা একটি দেশের সরকার কর্তৃক কোন দেশে ielts স্কোর কত লাগে তা নির্ধারণ করা হয় না। এটি নির্ধারণ করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই, বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে এই স্কোর কম বা বেশি লাগে।
তবে, নিচে আপনাদের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে IELTS স্কোর কত লাগে তার একটি ছোট্ট তালিকা উল্লেখ করে দিয়েছি। এই তালিকাটি অনুসরণ করলে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইএলটিএস স্কোর সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চাচ্ছেন, উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উপরের তালিকায় খুঁজে পেলে বিশ্ববিদ্যালয়টি কত IELTS স্কোর চায়, সেটি দেখতে পারবেন। যদি তালিকায় না থাকে, তবে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর ওয়েবসাইট ভিজিট করলে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
আইইএলটিএস এর প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আপনাকে মূলত চারটি পদ্ধতিতে প্রস্তুতি নিতে হবে। এগুলো হচ্ছে, Speaking(স্পিকিং), Reading(রিডিং), Writing(রাইটিং), Listening(লিসেনিং) । আইইএলটিএস পরিক্ষায় এই চারটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। তাই, আপনাকে Speaking, Reading, Writing, Listening এ ভালো করতে হবে।
আইইএলটিএস এ মূলত দুই ধরণের পরিক্ষা হয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে –
উপরোক্ত দুইটি ধরণের মাঝে পার্থক্য রয়েছে। আপনি যদি পড়ালেখা করার উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমাতে চান, তবে IELTS Academic Module এ পরিক্ষা দিতে হবে। কিন্তু, আপনি যদি কাজ করার জন্য বিদেশ যেতে চান, তবে IELTSS General Training Module এ পরিক্ষা দিতে হবে। আপনার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে পরিক্ষার ধরণ নির্বাচন করে প্রস্তুতি নিতে হবে।
আইইএলটিএস পরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আপনাকে ইংরেজি ভালো জানতে হবে। যদি ইংরেজিতে দুর্বলতা থাকে, তবে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স বা অফলাইন কোর্সে জয়েন করতে পারেন। আমাদের দেশে এখন অনেক সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান আইইএলটিএস কোর্স করিয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত চর্চা করলে এই পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।
যেহেতু IELTS পরিক্ষা ৪টি পদ্ধতিতে হয়ে থাকে, তাই আপনাকে Speaking, Reading, Writing, Listening উভয় জায়গায় ভালো করতে হবে। ৪টি ধাপেই যদি ভালো করতে পারেন, তবেই এই পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন। স্পিকিং ভালো করার জন্য প্রতিনিয়ত ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করতে হবে। রিডিং এ ভালো করার জন্য বেশি বেশি ইংরেজি বই, নিউজপেপার, অনলাইন নিউজ ব্লগ পড়তে হবে।
রাইটিং এ দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে বেশি বেশি ইংরেজি লিখতে হবে। বিভিন্ন ইংরেজি নিউজ, পডকাস্ট শুনে লিসেনিং এ ভালো করতে পারবেন। এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে ৪টি ধাপেই ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।
আমরা যেসব সচরাচর একটি প্রশ্ন শুনে থাকি যে, কোন দেশে IELTS স্কোর কত লাগে, ঠিক তেমনি আরও একটি প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। এটি হচ্ছে, IELTS এর সুবিধা কি কি? আমি যদি আইইএলটিএস এ ভালো স্কোর করতে পারি তবে কী কী সুবিধা পাবো?
আইইএলটিএস হচ্ছে পুরো বিশ্বের ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা নির্মাণের মানদন্ড। তাই, এই পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারলে বিশ্বের প্রায় ১৪০টি দেশে যেতে পারবেন। এছাড়াও, পছন্দের ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আইইএলটিএস পরিক্ষা দিতে চাইলে ফি দিতে হয়। বর্তমানে আইইএলটিএস পরিক্ষার ফি হচ্ছে ২০ হাজার ২৫০ টাকা। আইইএলটিএস পরিক্ষার প্রস্তুতি নেয়া হয়ে গেলে আইইএলটিএস পরিক্ষার ফি জমা দিয়ে পরিক্ষা দিতে পারবেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, রাজশাহী ও কক্সবাজারে আইইএলটিএস পরিক্ষার কেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশের উক্ত জায়গাগুলো থেকে আইইএলটিএস পরিক্ষা দিতে পারবেন।
তবে, আপনি যদি অনলাইনে আইইএলটিএস পরিক্ষা দিতে চান, তবে শুধুমাত্র ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেট থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিক্ষা দিতে পারবেন।
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে কোন দেশে ielts স্কোর কত লাগে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি পড়ালেখা করার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাতে চান, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত IELTS স্কোর থাকতে হবে। তবেই উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। স্টুডেন্ট ভিসায় কোন দেশে যেতে আইইএলটিএস স্কোর কত লাগে পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে থাকলে আপনার মতামত জানাতে পারেন।
আইইএলটিএস কোর্স সাধারণত ১ মাস থেকে ৬ মাস অব্দি হয়ে থাকে। ইংরেজিতে আপনার বেসিক দক্ষতা কেমন, তার উপর নির্ভর করবে আপনি কত দ্রুত IELTS কোর্স শেষ করতে পারবেন। ইংরেজিতে ভালো হতে আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্স অনেক দ্রুত শেষ করতে পারবেন।
আইইএলটিএস পরিক্ষার ফি ২০ হাজার ২৫০ টাকা। এছাড়াও আনুসাঙ্গিক কিছু খরচ করতে হবে। আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোর্স করতে কোর্স ফি দিতে হবে।
[…] […]
[…] […]